১৫ দফা দাবিতে

৭২ ঘণ্টা কর্মবিরতির ঘোষণা কার্ভাডভ্যান-ট্রাক মালিক অ্যাসোসিয়েশনের

Passenger Voice    |    ০১:২০ পিএম, ২০২১-০৯-১৮


৭২ ঘণ্টা কর্মবিরতির ঘোষণা কার্ভাডভ্যান-ট্রাক মালিক অ্যাসোসিয়েশনের

১৫ দফা দাবিতে ২১ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) ভোর ৬টা থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) ভোর ৬টা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টা সারাদেশে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ কার্ভাডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার পণ্যপরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ফেডারেশন।  

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কদমতলীতে আন্তঃজেলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। 

এ সময় বাংলাদেশ কার্ভাডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার পণ্যপরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাফর আলম বলেন, ১৯ তারিখের (রোববার) মধ্যে ১৫ দফা দাবি না মানলে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে আমাদের কর্মবিরতি সারাদেশে শুরু হবে। দাবিগুলো সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো সমাধান হয়নি। দাবিগুলো বাস্তবায়ন হলে শ্রমিকদের আগামী ২০ বছর আর কোনো আন্দোলনে যেতে হবে না। 

দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশের ঘুষ বাণিজ্যসহ সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। গাড়ির কাগজপত্র চেকিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়া যেসব চালক ভারী মোটরযান চালাচ্ছে তাদের সবাইকে সহজশর্তে এবং সরকারি ফি-এর বিনিময়ে অবিলম্বে ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে। মোটরযান মালিকদের ওপর আরোপিত অগ্রিম আয়কর বা বর্ধিত আয়কর অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। এছাড়া ইতিমধ্যে আদায় করা বর্ধিত কর স্ব স্ব মালিককে ফেরত দিতে হবে। 

বাংলাদেশ ট্রাক চালক শ্রমিক ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি ওয়াজি উল্লাহ বলেন, সব শ্রেণির মোটরযানে নিয়োজিত সড়ক পরিবহন শ্রমিকদেরকে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মতো রেশনিং সুবিধার আওতায় আনতে হবে। চট্টগ্রামে অবস্থিত ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মনোনীত প্রতিনিধি এবং সব ড্রাইভার ও সহকারীকে চট্টগ্রাম বন্দরে হয়রানিমুক্ত প্রবেশের সুবিধার্থে বাৎসরিক নবায়নযোগ্য বায়োমেট্রিক স্মার্টকার্ড দিতে হবে।   

এসময় নেতারা দাবি করেন, প্রতি ৫০ কিলোমিটার পরপর পণ্য পরিবহন শ্রমিকদের জন্য দেশের সড়ক-মহাসড়কের নিরাপদ দূরত্বে বিশ্রামাগার ও কার্ভাডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার টার্মিনাল নির্মাণ করতে হবে। সারাদেশের জন্য একই পরিমাণ ওজন নির্ধারণ করে অতিরিক্ত (ওভারলোড) পণ্যপরিবহন বন্ধে লোডিং পয়েন্ট তথা পণ্যপরিবহনের উৎসস্থলে সরকার নির্ধারিত ওজন নিশ্চিত করে পণ্যবাহী গাড়িগুলোতে মালামাল লোড করতে হবে। লোড করা গাড়িগুলোকে উৎসস্থলে পণ্যের ওজনস্লিপ দিতে হবে।

কর্মবিরতি সফল করার লক্ষ্যে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশ কার্ভাডভ্যান -ট্রাক-প্রাইমমুভার পণ্যপরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মকবুল আহমদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।

সূত্র: ঢাকা পোস্ট